একজন সাকিব এবং আমাদের গল্প

বিশ্বকাপে বর্তমান সাফল্যে সকলের প্রসংশায় ভাসছেন সাকিব আল হাসান। ক্রীড়া বিশ্লেষক থেকে আপামর জনতা কেউই বাদ যাচ্ছেন না। ফেসবুকেও লাভ রিয়েক্টের সংখ্যা বেড়েই চলছে। হবেই না কেন, সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার হউয়ার দৌড়ে সাকিবই যে সবচেয়ে এগিয়ে।

অথচ আমরা! কিছুদিন আগেই দলের সাথে অনুশীলনে যোগ না দেয়ায় কত কিছুই না বলেছি। দলের সাথে ছবি না তোলায় কম কাহিনি হয়নি। যদি পারতাম তাহলে হয়তো দল থেকেই বাদ দিয়ে দিতাম।

সমর্থক হিসেবে আমাদের সুনাম দুর্নাম দুই-ই আছে। একদল যেমন জিতলেও আছি, হারলে
©ক্রিকইনফো
ও পাশে থাকব। অপর দল কিছু না হতেই সমালোচনার ঝর বইয়ে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয় দলের আওয়াজটাই বেশি শোনা যায়। এতে দলের লাভ হচ্ছে না ক্ষতি হচ্ছে একবার ভেবে দেখা উচিত।

অতি সম্প্রতি পাকিস্তান দলের কোচ আত্মহত্যা করতে ছেয়েছিলেন। কারণ ভারতের সাথে দল হারায় বিপর্যস্ত ছিলেন। আর দর্শকদের প্রত্যাশার চাপ তো ছিলই।

আমরাও তো তাদের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই। যখন সবাই মাশরাফির প্রশংসা করছিলেন। তিনি এক সাংবাদিককে বলেছিলেন, দুইটা ম্যাচ খারাপ খেললে সবাই ভুলে যাবে। আসলেই হচ্ছে তাই। হাতের ইনফেকশন নিয়েও সাকিব খেলে গেছেন। আমরা দলের প্রতি তার ডেডিকেসন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছি। স্বার্থপর হিসেবে আখ্যা দিয়েছি।

আমরা কি একটু ভাল হতে পারি না! নিজেকে ক্রীড়া বিশ্লেষক ভাবা বাদ দিয়ে দলকে সমর্থন দেয়াটা এখন খুবই প্রয়োজন। সামনে গুরুত্বপূর্ণ দুইটা ম্যাচ রয়েছে।

আমাদের অনেক খেলোয়াড়দের ইনজুরির সমস্যা রয়েছে। মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, সাকিব, তামিম, সাইফুদ্দিন, সৈকত— সবাই ইনজুরি নিয়েই খেলছেন। মাশরাফির কথা বাদই দিলাম।

এখন আবার নতুন রোগে পেয়েছে আমাদের। মাশরাফির সমালোচনায় মজেছি। কী আনন্দ যে পায় আমরা এসব করে! আস্থা রাখুন এই দলটার প্রতি। কথা দিচ্ছি, হতাশ হবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ